স্কুলের ইতিহাস
একটি সুশৃঙ্খল, সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি জাতির আত্মোন্নয়নের অপরিহার্য অঙ্গ। একটি যথার্থ বিদ্যালয়ই পারে জাতির মানুষ তৈরির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। বাংলাদেশের যে কয়টি বিদ্যালয় এই মহান দায়িত্বকে মাথা পেতে নিয়েছে এক্সওয়াইজেড তার মধ্যে একটি। এক্সওয়াইজেড স্কুলটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে এক্সওয়াইজেড থানাধীন এক্সওয়াইজেড রোডে অবস্থিত। ঢাকার এক্সওয়াইজেড জিরো পয়েন্ট থেকে এর দূরত্ব আনুমানিক এক কিলোমিটার এবং এক্সওয়াইজেড বন্দর থেকে দূরত্ব আনুমানিক দশ কিলোমিটার।
এই স্কুলটির বীজ সর্বপ্রথম প্রোথিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে যা এক্সওয়াইজেড নামে এক্সওয়াইজেড স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে একটি সম্পূর্ণরুপে বাংলা মাধ্যম স্কুল হিসাবে পরিচিত হয়। ১৯৭৮ সালে স্কুলটি মাধ্যমিক পর্যায় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। ক্রমান্বয়ে ছাত্রীভর্তির চাপে ১৯৮৬ সালে স্কুলের একটি বৈকালিক শাখা খোলা হয় এবং আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে এক্সওয়াইজেড এলাকায় স্কুলের একটি ব্রাঞ্চ বৃদ্ধি করা হয়। সেখানেও প্রভাতী ও বৈকালীন দুটি শাখা চালু হয়ে যায়। ১৯৯৫ সালে মূল ভবনে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ইংরেজি মাধ্যম শুরু হয় যা পর্যায়ক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উন্নীত হয়। ২০০৫ সালে ইংরেজি মাধ্যমে প্রথম শ্রেণী খোলা হয় এবং ২০০৬ সালে তা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
২০০০ শিক্ষাবর্ষে ক্রমাগত ছাত্রীভর্তির চাহিদা ও নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে এক্সওয়াইজেড প্রভাতী ও বৈকালিক শাখায় প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত দুটি শাখা সম্প্রসারণ করা হয় যা পরবর্তীতে ক্রমপর্যায়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা হবে। ২০০৪ সালে এক্সওয়াইজেড স্কুলের সম্প্রসারণ ও অগ্রগতির আরও একটি বার্তা বয়ে এনেছে সরকারি অনুকূলে প্রাপ্ত আজিমপুরে একখন্ড জমি প্রাপ্তি। যেখানে এক্সওয়াইজেড শাখাকে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে মাননীয় এক্সওয়াইজেড কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এক্সওয়াইজেড শাখার অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সওয়াইজেড শাখাকে স্থানান্তরিত না করে এক্সওয়াইজেড প্রাপ্ত জমিতে নতুন একটি শাখা এক্সওয়াইজেড শাখা নামে খোলা হয়।
২০০৬ সালের শিক্ষাবর্ষে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে মূল শাখার প্রভাতী ও দিবা শাখা, ইংরেজি শাখা ছাড়া এক্সওয়াইজেড, এক্সওয়াইজেড, এক্সওয়াইজেড এই তিনটি শাখার দিবা ও প্রভাতী শাখা রয়েছে।